দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে কুয়েত সিটি, ঢাকার পরিস্থিতি কী?
একই সময়ে ৪৭৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে কুয়েত সিটি কুয়েত। এছাড়া ২১৪ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের কিনশাসা, ১৮৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর এবং ১৬৪ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে চীনের চ্যাংডু ও ১৬২ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।
স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
পা দিয়ে লিখে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মানিকের জয়
শারীরিক প্রতিবন্ধী মানিক রহমান। কুড়িগ্রামের কৃতি সন্তান মানিক হাত না থাকায় পা ব্যবহার করে লেখাপড়া করেন। সম্প্রতি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ভর্তি পরীক্ষায় তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরীক্ষার হলে তিনি পা ব্যবহার করেন। আর এরপরই বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করে ‘বি’ ইউনিটের মেধা তালিকায় ১৯২তম স্থান অর্জন করেন।রোববার (১১ মে) ফলাফল প্রকাশিত হলে মানিকের এই কৃতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ভর্তি পরীক্ষায় মানিকের অংশগ্রহণের ছবি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফেসবুক পেজ থেকে আগেই ভাইরাল হয়েছিল। তাই মানিকের মতো একজন জুনিয়র পেয়ে সবাই খুশি।
জানা গেছে, জন্ম থেকেই দুই হাত না থাকলেও মানিক হার মানেননি। মানিকের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামে। মানিক ২০২২ সালে ফুলবাড়ী জছি মিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০২৪ সালে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। উভয় পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে তিনি গোল্ডেন জিপিএ-৫ অর্জন করেন। তার বাবা মিজানুর রহমান একজন ওষুধ ব্যবসায়ী এবং মা মরিয়ম বেগম একজন সহকারী অধ্যাপিকা।
মানিকের ইচ্ছে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে পড়াশোনা করার। মানিক জানান, 'আল্লাহর রহমত, বাবা-মা ও শিক্ষকদের ভালোবাসা আর দোয়ায় আজ এই জায়গায় আসতে পেরেছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন একজন দক্ষ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে পারি।'
মানিকের বাবা-মা বলেন, 'শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও আমরা তাকে কখনো প্রতিবন্ধী ভাবিনি। ছোট থেকেই তাকে পা দিয়ে লেখার চর্চা করিয়েছি। তার মনোযোগ, পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাসই তাকে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে।'
যাত্রীবাহী লঞ্চে পিকনিকে আসা নারীদের প্রকাশ্যে মারধর
মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে যাত্রাবিরতি করা একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের কেবিনে পিকনিকে আসা দুই নারীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই যাত্রীদের কাছ থেকে টাকাপয়সা ও মোবাইল ফোন লুটের অভিযোগও পাওয়া গেছে। মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে এমভি ক্যাপ্টেন নামের একটি লঞ্চ। ৩০০ থেকে ৪০০ জন উঠতি বয়সি ছেলেমেয়ে পিকনিক ও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে লঞ্চটি ভাড়া করে। উঠতি বয়সি ছেলে-মেয়েরা লঞ্চের ছাদে গান, বাজনা ও নাচের আয়োজন করে।
একপর্যায়ে লঞ্চটি রাত সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থামে। এ সময় লঞ্চে থাকা ৮ থেকে ১০ জন ছেলেমেয়ে নিচে নামলে বিষয়টি লঞ্চঘাটে থাকা স্থানীয়দের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে লঞ্চঘাটে থাকা অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জন লঞ্চে উঠে ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুই নারীকে মারধর করে এক যুবক।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা রঙের পোশাক পরা আনুমানিক দুই নারীকে লঞ্চের একেবারে সামনের অংশে উঠিয়ে বেল্ট দিয়ে বেপরোয়াভাবে পেটাচ্ছেন মুন্সীগঞ্জ শহরের নেহাল আহমেদ জিহাদ নামের একজন। এ সময় ৫০-৬০ জন বিভিন্ন বয়সি পুরুষ সেই দৃশ্য তাদের মোবাইল ফোনে ধারণ করে উল্লাস করছেন ও বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
এ ঘটনার আরেকটি ভিডিওতে আরও দেখা যায়, থেমে থাকা লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় উঠে গণহারে অপ্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ যাত্রীদের পেটাচ্ছেন ১০ থেকে ১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। এ সময় তারা লঞ্চের কেবিনগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছেন এবং দরজা ভাঙার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিডিওতে মারধর করতে থাকা নেহাল আহমেদ জিহাদ বলেন, ‘২০০ থেকে ৩০০ লোক তাদের আচরণ ও বেশভূষায় ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করতে চলে আসে। আমি তাদের নিবৃত্ত করতে ভাই হিসাবে শাসন করেছি। এটা আমার করা উচিত হয়নি। আবার আমি এটা না করলে মানুষজন নারীদের জামাকাপড় টেনে খুলে ফেলতো। আরও বেশি হেনস্তা করতো। এছাড়া, স্থানীয়দের কাছ থেকে অন্তত আটটি মোবাইল আমি তাদের উদ্ধার করে দিয়েছি। আমি মারধরের ঘটনায় অনুতপ্ত।’
মারধরের শিকার নারীদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে খবর পেয়ে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ, মুন্সীগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম গণমাধ্যমে বলেন, ‘সন্ধ্যার নাস্তা কেনার জন্য ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী লঞ্চ থেকে পল্টুনে নামেন। সেখানে থাকা স্থানীয়রা মাদকসেবী সন্দেহ করে তাদের পিছু নিয়ে লঞ্চে ওঠার চেষ্টা করলে লঞ্চের ম্যানেজার মো. শফিক তাদের প্রবেশে বাধা দেয়। এতে উত্তেজিত লোকজন জড়ো হয়ে লঞ্চে ঢুকে ভাঙচুর, লুট ও যাত্রীদের মারপিট করেন। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজনা কমে আসে।’
মুক্তারপুর নৌ পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে আমরাও ছিলাম। মারধরের ঘটনার পর আমরা লঞ্চটিকে অনেকদূর পর্যন্ত পাহারা দিয়ে এগিয়ে দিয়ে আসি। ভুক্তভোগীরা পরবর্তীতে মারধর ও লুটের ঘটনায় অভিযোগ করবেন বলে আমাদের জানান। তবে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কোয়ান্টাম কম্পিউটার
ভ্রম শুধু মানুষ নয়, যন্ত্রেরও হয়। বলা ভাল, যন্ত্রমাত্রই হয়। কিন্তু সংশোধনের উপায় জানা না থাকলে সমস্যা। ঠিক এই গেরোতেই আটকে রয়েছে ‘কোয়ান্টাম কম্পিউটার’। এই অতি শক্তিশালী কম্পিউটার তৈরিতে বিশ্ব জুড়ে একাধিক গবেষণা চলছে। ভারতের একাধিক প্রতিষ্ঠানও কোয়ান্টাম গবেষণা
য় যুক্ত। লক্ষকোটি ডলারের বিনিয়োগ। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এখন যে ক্লাসিক্যাল কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়, তার থেকে হাজার হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী কোয়ান্টাম কম্পিউটার। বর্তমান কম্পিউটারে যা কল্পনাও করা যায় না, সেই কাজ চোখের পলকে করে ফেলতে পারে অত্যাধুনিক যন্ত্রটি। তবু বাণিজ্যিক ভাবে এটি কবে সাধারণ মানুষের দরবারে আসবে, তার উত্তর জানা নেই কারও। কারণ— খুব সহজে নিজের ভুল সংশোধন করতে জানে না সে।
MOST RECENT
Join US on Facebook
Popular Posts
-
ভ্রম শুধু মানুষ নয়, যন্ত্রেরও হয়। বলা ভাল, যন্ত্রমাত্রই হয়। কিন্তু সংশোধনের উপায় জানা না থাকলে সমস্যা। ঠিক এই গেরোতেই আটকে রয়েছে ‘কোয়ান্টা...
-
শারীরিক প্রতিবন্ধী মানিক রহমান। কুড়িগ্রামের কৃতি সন্তান মানিক হাত না থাকায় পা ব্যবহার করে লেখাপড়া করেন। সম্প্রতি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ...